ক্রিপ্টোকারেন্সি মানে কি? - ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল?
ক্রিপ্টোকারেন্সি হল এমন এক ধরনের মুদ্রা যা অনলাইনে আদান প্রদান করা হয়ে থাকে। অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকেন "ক্রিপ্টোকারেন্সি মানে কি? - ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল?" এই সম্পর্কে। কারণ তারা এই (ক্রিপ্টোকারেন্সি মানে কি? - ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল?) টপিকটি নিয়ে বেশ কৌতুহলী।
তাই আপনিও যদি এই বিষয়ে (ক্রিপ্টোকারেন্সি মানে কি? - ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল?) থাকেন এবং এর আদ্যোপান্ত সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের এই পোস্ট শুধুমাত্র আপনার জন্য।
ভূমিকা
বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সি অধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পুরো বিশ্বে এর কারণ হচ্ছে এটিতে আদান-প্রদানকারীর কোন তথ্য সংরক্ষণ থাকে না। অর্থাৎ তথ্য চুরি হওয়ার ভয় থাকে না। সহজেই আদান প্রদান করা যায়। আজ আমরা এই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। এতে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন সব বিষয়ে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি মানে কি
ক্রিপ্টোকারেন্সি এমন এক ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে যাকে বলা হয় ব্লক চেইন। এবং এই ব্লক চেইনটি ডাটাবেজ দ্বারা ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনগুলো নিয়ন্ত্রণ করে বা নিবন্ধন করে। ক্রিপ্টোকারেন্সি হল মূলত এক ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা যা অন্য সকল মুদ্রার মতো সেন্ট্রাল ব্যাংক বা সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয় না ক্রিপ্টোকারেন্সি দ্বারা সহজেই নিরাপদ দ্রুততার সাথে লেনদেন করা যায়।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকার
ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্র অনেক বিশাল হওয়ায় এর অনেকগুলো প্রকার রয়েছে তবে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় যেগুলো বিশ্বে প্রচলিত রয়েছে সেগুলোর তালিকা নিম্নে দেয়া হলোঃ
- ডোজ কয়েন
- ইথেরিয়াম
- বিটকয়েন
- টেথার
- লিটোকয়েন
- কার্ডানো
- বাইটকয়েন ক্যাশ
ইত্যাদি।
ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয়
আপনারা ইতিমধ্যেই জেনেছেন যে ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্র অনেক বিশাল, তাই এখান থেকে আয় করার অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে। তার মধ্যে কিছু পদ্ধতি নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
- ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং করে
- ক্রিপ্টোকারেন্সি ফার্মিং করে
- ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করে
- ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন এর মাধ্যমে কমিশন নিয়ে
- ক্রিপ্টোকারেন্সি ঋণ বা ধার দেয়ার মাধ্যমে
- ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগ করে
ক্রিপ্টোকারেন্সি তালিকা
ক্রিপ্টোকারেন্সির তালিকা উল্লেখ করা হলোঃ
- বিটকয়েন
- ইথেরিয়াম
- টেথার
- ইউএসডিসি
- ডোজেকয়েন
- কার্ডানো
- সোলানা
- বাইটকয়েন ক্যাশ
- লিটোকয়েন
- রিপল
ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন
ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন করতে হলে সবার প্রথমে আপনার একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ একাউন্ট থাকতে হবে। এ অ্যাকাউন্ট ওপেন করার মাধ্যমে আপনি একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট পাবেন। এটিকে ডিজিটাল ওয়ালেট বলা হয়। ক্রিপ্টোকারেন্সি একাউন্ট খুলে লেনদেনের মাধ্যমে আপনি যাই কিছু করেন এটি ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটে রাখতে পারবেন।
১ বিটকয়েন সমান কত টাকা
১ বিটকয়েন সমান আনুমানিক ১,০০০,০০০ টাকা। তবে এটি সঠিকভাবে বলা যাবে না। তার কারণ হচ্ছে বিটকয়েনের বাজার দর সব সময় আপ ডাউন করতে থাকে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগ
ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম প্রতিনিয়ত ওঠা নামা করে। তাই আপনাকে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের আগে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। আপনি যদি সতর্কতা অবলম্বন করে বিনিয়োগ করেন, তাহলে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আপনি লাভ করতে পারবেন। আপনি বিনিয়োগের পরিমাণ সীমিত রাখবেন না হলে আপনি আপনার বিনিয়োগক্রিত অর্থ কি হারাতে পারেন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল
ইসলামিক চিন্তাবিদ ও ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে এটি নিয়ে মতভেদ রয়েছে। অনেক মুফতি ও ইসলামিক স্কলাররা মনে করেন যে এই ব্যবসা হালাল, কারণ এটি একটি বিনিয়োগ প্রক্রিয়া। এতে আপনার লাভ লোকসান দুইটারই ঝুঁকি রয়েছে। আবার অনেক ইসলামিক স্কলাররা মনে করেন যে ক্রিপ্টোকারেন্সি একপ্রকার জুয়া এবং এটিতে বিনিয়োগ করা সম্পূর্ণ নাজায়েজ।
তাই আপনি যদি এটিতে বিনিয়োগ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ইসলামিক স্কলার বা মুফতি সাথে আলাপ আলোচনা করতে হবে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ
বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ ২০২৩
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত বিটকয়েনের বৈধতা নেই। তবে অনেকেই অবৈধ জানার পরেও বাংলাদেশ থেকে বিটকয়েন কেনাবেচা, আদান-প্রদান করে থাকেন। অর্থাৎ এর ব্যবসা করে থাকেন।
আরও পড়ুনঃ চশমার পাওয়ার গ্লাসের দাম
ক্রিপ্টোকারেন্সি স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ
২০১৭ সালে এস্তোনিয়া নামক একটি দেশ বিটকয়েনের প্রথম স্বীকৃতি দেয়। এবং সেই দেশের নিয়ম অনুসারে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে থেকে অর্থ হিসেবে বিবেচনা করে। এবং তাদের দেশে এর লেনদেন এবং বিনিয়োগ করাকে বৈধতা দেয়।
ক্রিপ্টোকারেন্সি আইন বাংলাদেশ
আপনি ইতিমধ্যে জেনেছেন ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বাংলাদেশ সরকার কোন আইন প্রণয়ন করেনি। তাই ক্রিপ্টোকারেন্সি এখনো বাংলাদেশে বৈধ নয়। এবং বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন নিষিদ্ধ করেছে। কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন করতে পারবে না। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ অনুসারে করা হয়েছে।
লেখকের শেষ কথা
ক্রিপ্টোকারেন্সির সম্ভাবনা অনেক এবং এটিকে অনেকেই ভবিষ্যতের ইলেকট্রিক মুদ্রা হিসেবে দেখেন। এটি একটি নতুন এবং উদ্ভাবনে প্রযুক্তি হলেও এতে বিনিয়োগ কিন্তু সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ। এতে আপনার লাভও হতে পারে আবার লোকসানো আরো চান্স থাকে। আজ এখানেই শেষ করছি, পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। আরো নিত্য নতুন তথ্য, ইনফরমেশন, নিউজ, ইত্যাদি জানতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
Follow this website's rules and regulations before commenting.Click here Every comment will be checked.
comment url